নিজস্ব প্রতিবেদক | বুধবার, ০৮ মে ২০২৪ | প্রিন্ট
বেসরকারি সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, এতদিন তথ্যে নৈরাজ্য চলছিল, এখন অপঘাত ঘটছে। বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। এর মানে তা কী বার্তা দিচ্ছে। এখন ওখানে এমন কিছু ঘটছে তা যদি জনসমক্ষে প্রকাশ পায়, তাহলে বড় ধরনের নাশকতা হয়ে যাবে। এই নাশকতাকারীরা হচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক বিটের সাংবাদিকরা।
বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে কড়াকড়ির ঘটনায় কড়া সমালোচনা করে মঙ্গলবার রাজধানীর পল্টনে এক স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘আমাদের একটা গর্ব ছিল, বিদেশি ঋণ নিয়ে কখনও খেলাপি হইনি আমরা। কিন্তু সম্প্রতি তেল আমদানি করে আমরা অর্থ পরিশোধ করতে পারছি না। বিদেশিরা মুনাফা নিতে পারছে না, এয়ারলাইন্স ব্যাবসায়ীরা অর্থ পাচ্ছে না। তার মানে গর্বের জায়গায় ফাটল ধরিয়ে দিয়েছে। এসব তথ্য-উপাত্ত বাংলাদেশ ব্যাংক দেয়। সেখানে প্রবেশ নিষেধ। তার মানে সেখানে ‘ডাল মে কুচ কালা হে’। এখন এটা কি মসুর ডাল না কি মুগ ডাল নাকি সব জায়গায় ডাল; এটাই এখন বোঝার বিষয়। দেশ এখন এলডিসির দিকে যাচ্ছে। সরকার ডিজিটাল ও স্মার্ট বাংলাদেশ বলছে।
এ সময় তথ্যের নৈরাজ্য সম্পূর্ণভাবে সাংঘর্ষিক বলেও মন্তব্য করেন ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেনের স্মরণে ‘মোয়াজ্জেম হোসেন স্মারক বক্তৃতা’ নামে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ইআরএফ-এর সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইংরেজি দৈনিক দ্য ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ এবং ইআরএফ সভাপতি রেফায়েত উল্লাহ মীরধা।
Posted ১:২৪ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ০৮ মে ২০২৪
ajkerograbani.com | Salah Uddin